রোহিঙ্গা শিশু। নাম বেলাল। বয়স ৯।
সেন্টমার্টিনে যাবার পথে কেয়ারি কুতুবদিয়া জাহাজের চা বেয়ারার। সারাক্ষন ছুটোছুটি করে হাসি মুখে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ তার ঐটুকু ছোট্ট কাধেই ৫ জন মানুষের প্রতিদিনের খাবারের ভার!
বার্মার পিশাচ সেনাবাহিনীর গনহত্যার মুখে টানা ৯ দিন পায়ে হেটে সপরিবারে বন জংগল ভেঙ্গে এদেশে আসা। আসার পথে দুপায়ে গুলি খেয়ে বাবা পঙ্গু। ৩ ভাইবোন। কারও কোন কাজ নাই। খাবার নাই, পোশাক নাই, আশ্রয়টাও নাই ঠিকমত।
সে বড় ছেলে। কোনরকমে এই জাহাজে চা বিক্রির চাকুরি নিয়ে এই ছোট্ট শিশুটি সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সারাটা জাহাজ ঘুরে ঘুরে চা সরবারহ করে পর্যটকদের। ১০০০ টাকার চা বিক্রি করলে বিনিময়ে ক্যান্টিন মালিকের কাছ থেকে ২০ টাকা পায়। কয়েকমাসেই পেটের দায়ে বাংলা ভাষাটাও খুব ভাল করে রপ্ত করে নিয়েছে। মুখে একটুও কষ্টের ভাজ নাই। সারাক্ষন হাসতে থাকে। সবার সাথে মায়া করে কথা বলে। কোন অভিযোগ নাই তার এত কষ্টের জিবন নিয়ে। কারও কাছে ১ টাকা ভিক্ষাও চাইনা। শুধু জানে তাকে কাজ করতে হবে সংসারের বাকি ৪ জনের মুখে খাবার তুলে দেবার জন্য। দৌড়ে কাজ করে চলে সারাটাদিন মুখে ঝকঝকে হাসি নিয়ে।
ওর ঐ হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে এক অজানা অপরাধবোধে। ওকে বুকের ভিতর জড়িয়ে ধরে অদৃশ্য পানিতে চোখ ভরে উঠে, মানুষ হিসাবে নিজের অপারগতা লাঘবের কিছুটা অপচেস্টা করি।
কি দোষ ছিল ওদের, যে আমরা মানুষ হিসাবে ওদের সাথে পশুর মত আচরন করেছি। করেছি সর্বহারা!!
বার্মার পিশাচ সেনাবাহিনীর গনহত্যার মুখে টানা ৯ দিন পায়ে হেটে সপরিবারে বন জংগল ভেঙ্গে এদেশে আসা। আসার পথে দুপায়ে গুলি খেয়ে বাবা পঙ্গু। ৩ ভাইবোন। কারও কোন কাজ নাই। খাবার নাই, পোশাক নাই, আশ্রয়টাও নাই ঠিকমত।
সে বড় ছেলে। কোনরকমে এই জাহাজে চা বিক্রির চাকুরি নিয়ে এই ছোট্ট শিশুটি সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সারাটা জাহাজ ঘুরে ঘুরে চা সরবারহ করে পর্যটকদের। ১০০০ টাকার চা বিক্রি করলে বিনিময়ে ক্যান্টিন মালিকের কাছ থেকে ২০ টাকা পায়। কয়েকমাসেই পেটের দায়ে বাংলা ভাষাটাও খুব ভাল করে রপ্ত করে নিয়েছে। মুখে একটুও কষ্টের ভাজ নাই। সারাক্ষন হাসতে থাকে। সবার সাথে মায়া করে কথা বলে। কোন অভিযোগ নাই তার এত কষ্টের জিবন নিয়ে। কারও কাছে ১ টাকা ভিক্ষাও চাইনা। শুধু জানে তাকে কাজ করতে হবে সংসারের বাকি ৪ জনের মুখে খাবার তুলে দেবার জন্য। দৌড়ে কাজ করে চলে সারাটাদিন মুখে ঝকঝকে হাসি নিয়ে।
ওর ঐ হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে এক অজানা অপরাধবোধে। ওকে বুকের ভিতর জড়িয়ে ধরে অদৃশ্য পানিতে চোখ ভরে উঠে, মানুষ হিসাবে নিজের অপারগতা লাঘবের কিছুটা অপচেস্টা করি।
কি দোষ ছিল ওদের, যে আমরা মানুষ হিসাবে ওদের সাথে পশুর মত আচরন করেছি। করেছি সর্বহারা!!
ও মানুষ বলতে পারিস তুই কবে মানুষ হবি।।।।।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন