এক ছোট্ট বালকের ইচ্ছা হল সে সৃষ্টিকর্তার এর সাথে দেখা করবে। সে জানতো সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা করতে গেলে বহুপথ পাড়ি দিতে হবে। তাই সে ছোট্ট পুটলিতে করে কিছু খাবার ও পানি নিয়ে রওনা দিল।
বেশ কিছুপথ যাবার পর তার সাথে রাস্তার পাশে বেঞ্চে বসা এক বৃদ্ধের সাথে দেখা হল। বালকটি তার পাশে বসল ও খাবার জন্য পুটলি খুলে কিছু খাবার বের করল। তখন লক্ষ্য করল, বৃদ্ধটিকে খুব ক্ষুধার্ত লাগছে, তখন সে নিজে না খেয়ে বৃদ্ধটিকে খাবারগুলো দিল।বৃদ্ধটি তার দিকে তাকিয়ে ফোকলা দাতে প্রানখোলা হেসে খাবার খেল।
বৃদ্ধের হাসিটি তার কাছে এত সুন্দর লাগল যে সে আবারও তার হাসি দেখার জন্য খাবার দিল। বৃদ্ধের সেই হাসি দেখে বালকটি আবার অনেক খুশি হল।
তারা কোন কথা না বলেই একসাথে বসে খেল ও হাসাহাসি করে দিনটি পার করল।যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসল, তখন ক্লান্ত বালক বাড়ি ফেরার জন্য রওনা হয়ে কয়েক পা না এগোতেই আবার ফিরে এসে বৃদ্ধকে জড়িয়ে ধরল।বৃদ্ধও বালকটিকে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ হাসিটি উপহার দিল।
সন্ধ্যায় বালকটি ঘরে পৌছলে ছেলের অতি আনন্দিত মুখ দেখে মা অবাক হয়ে বলল, বাবু তোমাকে আজ এত খুশি দেখাচ্ছে কেন? সে বলল, মা আজ আমি সৃষ্টিকর্তার সাথে দুপুরে খেয়েছি। জান মা, সৃষ্টিকর্তার হাসি অনেক সুন্দর, দেখলে অবাক হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে বৃদ্ধটিও খুশি মনে বাড়ি পৌছল। তার ছেলে বাবাকে বলল, বাবা তোমাকে এত খুশি লাগছে কেন? বৃদ্ধ উত্তর দিল, বেটা, আজ আমি সৃষ্টিকর্তার সাথে বসে দুপুরে খেয়েছি। কিন্তু আমি সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে বয়স্ক মনে করেছিলাম, তিনি দেখতে অনেক কমবয়স্ক ও সুন্দর।
শিক্ষনীয়ঃ
ভাল চিন্তা ভাল ঘটনার জন্ম দেয়। হাসি সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অনেক বড় উপহার। নিজে হাসুন, অন্যকে হাসতে সাহায্য করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের অন্তরেই বাস করেন। ভাল কাজ করুন, অপরের ভাল ভাবুন। সৃষ্টিকর্তার আপনাকে নিশ্চয় পুরস্কার দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন