একটি প্রতিষ্ঠান নানান ধর্মের, বর্ণের, চরিত্রের, গোত্রের, পেশার, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের মানুষের সমন্বয়েই তাহার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও বৈশিষ্ঠ্য। এইসব বহুমতের ও বহুপথের মানুষের সফল সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে একজন দক্ষ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে যেমন ভিন্নতা রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন এইচ আর ম্যানেজারের কাজের ধরনেও ভিন্নতা রয়েছে। একদিকে যেমন এইচ আর এর উপর উচ্চতর ডিগ্রীধারি ও আধুনিক এইচ আর অনুশীলনকারী মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক রয়েছেন, তেমনি আছেন এইচ আর এর উপর উচ্চতর ডিগ্রী ছাড়াই গতানুগতিক ধারার অনুশীলনকারী মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক।
একেক প্রতিষ্ঠানে এইচআর বিভাগের কর্মীদের একেকনামে ডাকা হয়। কোথাও এইচআর ম্যানেজার, কোথাও পিপলস ম্যানেজার, কোথাও এমপ্লয়ী রিলেশন ম্যানেজার, কোথাও বা এইচআর বিজনেস পার্টনার । যে নামেই এটাকে ডাকা হোক না কেন, এইচআর ম্যানেজারের প্রধান কাজ প্রতিষ্ঠানের মালিক তথা ম্যানেজমেন্ট এবং এমপ্লয়ীদের মধ্যে যোগাযোগ সেতু ও মুখপাত্র হিসাবে কাজ করা। আর এই একবিংশ শতাব্দিতে কাজটিই সুচারুভাবে করতে যেয়ে নতুন নতুন এইচআর মতবাদ, পন্থার আবিষ্কার ও ব্যাবহার শুরু করতে হয়েছে মানব সম্পদ ব্যাস্থাপনায়। কারন বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ ও সুশিক্ষিত। তাই তারা অনেক বেশি সচেতন তাদের কর্ম ও ক্যারিয়ার নিয়ে। প্রত্যাশার পারদটাও তাই অনেক বেশি এইচআর ম্যানেজারের কাছে।
এইচআর ম্যানেজারের মুলকাজ যেমন দক্ষ এমপ্লয়ী নিয়োগ, প্রশিক্ষিতকরন, টার্নওভার কমানো, এমপ্লয়ী রিটেনশন ও কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠানের প্রতি অন্তরঙ্গতা ও আনুগত্য বৃদ্ধি, সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এইচআর ম্যানেজারকে অবশ্যই তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মনন ও প্রত্যশাগুলো বোঝা, কাজের উৎসাহ ও স্বীকৃতি প্রদান, যেকোন প্রয়োজনে সাড়া দেয়া, কর্মীদের মধ্যে সম্মান ও বিশ্বাসের ভিত মজবুত করা, অংশগ্রহনমূলক সিদ্ধান্তগ্রহন পদ্ধতি এবং পারস্পারিক সুসম্পর্ক ও মূল্যবোধের সংস্কৃতি তৈরি করা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন