সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

নিজের সেরা ভার্শন হন : শিবলী এইচ আহমেদ

908
SHARES
1.2k
VIEWS
শিবলী এইচ আহমেদ বর্তমানে সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসাবে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ও সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ইন্ডাষ্টীয়াল গ্রুপ অব কোম্পানিজ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্টীজ (এমজিআই) এর এফএমসিজি ডিভিশনের মানবসম্পদ বিভাগের
(এইচআর) দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে তাকে। ১৪ বছরের এই চাকুরী জীবনের শুরু হেরিটেজ ইঞ্জীনারিং এন্ড কমিউনিকেশন লিঃ এ কোঅরডিনেটর হিসাবে। এর পর একে একে কিউবি বাংলাদেশ, নাভানা গ্রুপ, প্যাসিফিক এ-১ গ্রপে এইচ আর ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। তারপর হেড অব এইচ আর হিসাবে ডেকো ফুডস লিঃ ও গেটকো গ্রুপের দায়িত্বেও নিয়োজিত ছিলেন।তিনি বাংলাদেশের এমন এক এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছেন যে এলাকার মানুষেরা করপোরেট প্রায় নেই বললেই চলে। আর নিজের আত্মীয় স্বজনরাও সাহায্য করার মত কেউ ছিলনা।
তাই রেফারেন্স পাবার সুযোগও খুব কম ছিল। কিন্তু অদম্য ইচ্ছা ছিল বড় হবার। তার সফলতার এই জার্নির গল্প শুনাচ্ছেন টকস্টোরির হেড অফ কর্পোরেট শামীম আশরাফ ।
আপনার ছোটবেলার শিক্ষনীয় কোন শিক্ষনীয় কোন গল্প বলেন?
শিবলী এইচ আহমেদ : তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। দিনটি শুক্রুবার, জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে গেছি। মসজিদের পাশে দিয়েই প্রধান একটা সড়ক গেছে। নামাজ প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় হঠাত রাস্তার দিকে চোখ পড়তেই দেখি একটা ট্রাক্টর আসছে আঁখ বোঝাই ৪টা ওয়াগান (বগি) নিয়ে। আখবোঝাই ট্রাক্টরগুলো বেশ আস্তে চলে। এটা রাস্তায় চলার সময় ছোট-বড় ছেলেরা লাফ দিয়ে ওয়াগানের পিছনে উঠে আঁখ টেনে টেনে বের করে নিচে ফেলে, অন্যরা রাস্তা থেকে তা কুড়িয়ে নিয়ে দ্রুত সরিয়ে ফেলে। যেহেতু ট্রাক্টরের চালক ও হেলপার গাড়ির সামনের দিকে থাকে তাই ওনারা গাড়ি থেকে আঁখ চুরি হচ্ছে বুঝে উঠতে উঠতেই ছেলেরা যতটুকু পারে আঁখ এভাবে খেলার ছলে চুরি করে নেয় চলন্ত গাড়ি থেকে খাবার জন্য। এটা এক ধরনের খেলাও তাদের কাছে। যাহোক আমি জুম্মার নামাযের সালাম কোনমতে ফিরিয়েই দোড় দিয়ে রাস্তায় এসে ট্রাক্টরের পিছনের ওয়াগানে লাফ দিয়ে উঠে ৮-১০টা মত আস্ত আখের ডাল দ্রুত নামিয়ে রাস্তায় ফেললাম। তারপর নেমে রাস্তা থেকে নিচু হয়ে ওঁই আঁখগুলো কুড়াচ্ছি এমন সময় মনে হল কে যেন জামার কলার চেপে ধরে টেনে উপরে তুলছে। সোজা হয়ে উঠেই দেখি আব্বা চোখ লাল করে তাকিয়ে আমার দিকে। আমি আব্বাকে জমের মত ভয় পেতাম। আব্বা ছিলেন আমাদের শহরের অত্যন্ত নামকরা সৎ, চরম পরহেজগার কড়া বেসরকারি হাইস্কুল শিক্ষক, এমনকি তিনি আমাদের পরিবারের অত্যন্ত অভাব সত্বেও বাসায় কোন ছাত্র প্রাইভেট পড়াতেননা কখনও। মনে হল আমার সামনে কেয়ামত। আব্বা সাধারনরত জুম্মার নামাজ প্রায় ২ ঘন্টা ধরে পড়েন। তাই আমি নির্ভয়ে ছিলাম আব্বা অন্তত নামাজের পরেই বের হবেন না মসজিদ থেকে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত আব্বা ওইদিন মসজিদের জানালার ধারের কাতারে নামায পড়ছিলেন। তাই নামাজের সালাম ফিরিয়েই
আমাকে আঁখ টানতে দেখেছিলেন। ব্যাশ, আর কই যাই। আমার হাত থেকে ওঁই আখের ডাল টান দিয়ে নিয়েই মাঝ রাস্তায়ই পেটানো শুরু করলেন লোকজনের মাঝে। তারপর কান ধরে মারতে মারতে বাড়ি নিয়ে এলেন। আব্বার মারের চোটে আমার জ্বর চলে এল সাথে সাথেই। আমি বিকালে প্রচন্ড জ্বরে বিছানায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে কাতরাচ্ছি, এমন সময় আব্বা ঘরে ঢুকলেন একগোছা আঁখ নিয়ে। আমার পাশে বসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চার মত হাঊমাউ করে কাদতে কাদতে বললেন, তোর আঁখ খেতে মন বললে আমাকে বলতিস, কেন রাস্তার উপর গাড়ি থেকে আঁখ চুরি করে টানতে গেলি? পরে শুনলাম, আব্বা আমার ট্র্যাক্টর থেকে টেনে ফেলা আখগুলো নিয়ে অনেকদূরের বেলগাছি নামক গ্রামের যে মাঠ থেকে ট্র্যাক্টরে করে আঁখগুলো নিয়ে আসা হয়েছিল সেখানে যেয়ে আখের দাম শোধ করে আখগুলো নিয়ে এসেছেন। আমি আব্বার শিশুর মত আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না দেখে ও আখের দাম শোধ দেবার গল্প শুনে প্রতিজ্ঞা করলাম জীবনে কখনও না বলে কারও কোন জিনিস নেবনা, চুরি করবনা তা যত ছোট কিছুই হোক, এমনকি তা যদি খেলার ছলেও হয়। আজও তা মেনে চলি বাবার ওই মার খাবার থেকে নেয়া শিক্ষা।
Add caption
আপনার অনুপ্রেরনার মানুষ কে?
শিবলী এইচ আহমেদ : আমার অনুপ্রেরনার মানুষ অনেকগুলো। ব্যাক্তি জীবনে আমার অনুপ্রেরনার ৯০% ভাগ আমার বাবা-মা। তারপর বড় ভাইয়াও পরিবার। প্রফেশনাল জীবনে আমার অনুপ্রেরনার বড় উৎস আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব মোশাররফ হোসেন, রাজিব আহমেদ, মোঃ কাম্রুজ্জামান ভাই, আসিফ ইকবাল, আতিকুজ্জামান খান, কামরুল হাসান, কাজী এম আহমেদ, সালেহ মুজাহিদ, মউনুদ্দিন চোধুরী স্যার সহ অনেকেই যাদের সবার নাম বললে অনেক সময় লেগে যাবে, যাদেরকে আমি মেন্টর মানি। যাদের মত আমি হতে চাই।
আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি কি?
শিবলী এইচ আহমেদ : একাগ্রচিত্তে অবরিত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া ও নিয়মিত জ্ঞানার্জন করে নিজেকে আপডেট রাখা। হার না মানা মনোভাব, বিনয়ী হওয়া, মানুষ্ কে সম্মান দেখান, প্রচন্ড অর্থকষ্ট ও শারিরিক অসুস্থতার অবিরাম যন্ত্রণা ভুলে থাকার জন্য শুধুই কাজের মধ্যে ডুবে থাকা, নিজেকে ছুটি না দেওয়া। শুধু নিজেকে বারবার বলেছি, সৃষ্টিকর্তা চাননা আমি ব্যারথ হই।
সাকসেসের জন্য কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন?
শিবলী এইচ আহমেদ : বিজয়ী ও বিনয়ী মনোভাব, পরিশ্রম, সততা, বিসশ্বতা, অন্যের কাছে নিজের গ্রহনযোগ্যতা, জ্ঞানার্জনের স্পৃহা, যোগাযোগ দক্ষতা, নিজেকে ও অন্যকে মোটিভেট করার ক্ষমতা এবং দারুন ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স।
কি শিখছেন প্রতিনিয়ত?
শিবলী এইচ আহমেদ : এইচআর এনালিটিক্স, বিজনেস অপারেশন, সেলস ম্যানেজমেন্ট,, বিগডাটা ম্যানেজমেন্ট, হিউম্যান বিহেভিরাল নলেজ, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এভিনিউস, অরগানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্টিস, নিউ বিজনেস একুইমেন, নিউ টেকনোলোজি, ব্রান্ডিং এন্ড ক্ মিউনিকেশন এবং অবশ্যই কিভাবে ভাল থাকা যায়, অন্যকে বা প্রতিষ্ঠানোকে কীভাবে ভাল রাখা যায় তা শিখছি।
কর্পোরেটে ভাল করতে চাইলে কি করতে হবে?
শিবলী এইচ আহমেদ : জানতে হবে যে পদে কাজ করবেন সেই পজিশনের কাজ বা কেপিআই, কোম্পানীর ব্যালেন্সশিট, মিশন, ভিশন ও ভ্যালুজ বুঝতে হবে, জানতে হবে কোম্পানির ভ্যালু চেইনের সাসসেস ফ্যাক্টরস, মিশন ক্রিটিক্যাল পজিশন্সগুলো যা বিজনেসের প্রফিট মার্জিন তথা বটম লাইনে প্রভাব ফেলে। রেগুলার কম্পিটিশন এনালিটিক্স, মার্কেট ডিনামিক্স জানা থাকতে হবে। এসব জানা না থাকলে বিজনেস এর চাহিদা অনুযায়ী ইনপুট বা ডেলিভারি দিতে পারবেন। ডিপার্টমেন্ট এর চাহিদা বুঝে সেই
অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজগুলো নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা। বসের সব নির্দেশনা এর নোট রাখা ও বসকে এই অনুভুতি দেওয়া যেন আপনাকে কাজ দিয়ে আপনার বস নিশ্চিন্ত থাকতে পারে সবসময় যে কাজটি নির্ভুলভাবে সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে। আপনাকে যেন অফিসের সব কাজেই নিশিন্ত মনে ভরসা করতে পারেন। একইভাবে অন্যান্য বিভাগের সহকরমিরাও যেন আপনার কাজে ও ব্যবহারে সন্তস্ট থাকে। কখনও নিজের কোম্পানীর, এমনকি সহকর্মীরও বদনাম করবেন না কোথাও, বরং সবসময় প্রশংসা করবেন। সবসময় আপনার পজিশনে আরও কি কাজ করলে আর ভাল ফলাফল
আসবে সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন। সববিভাগের সব সিনিয়রদেরকে সাথে সবসময় ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে। নিজে যে প্রফেশনে আছেন, সেই প্রফেশনে ইন্ডাস্ট্রিতে যে সব সিনিয়র ও নামকরা প্রফেশনাল আছেন তাদের তাদের সাথে যতটা সম্ভব যোগাযোগ রাখবেন, তাদের কাছাকাছি থাকবেন, তাদের গুনাবলীগুলোকে অনুসরণ করবেন। ইন্ডাস্ট্রির এইচআর প্রফেশনালদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখবেন, কারন আপনাকে নিয়োগ দেওয়া, এসেসমেন্ট করা এই বিভাগেরই কাজ।
ব্যর্থতা থেকে কি শিক্ষা নিয়েছেন?
শিবলী এইচ আহমেদ : কেন ব্যার্থ হলাম সেই কারন খুজে সেই ভুলগুলো পরবর্তীতে না করা। ব্যারথতা বুকের ভিতর আগুন ধরায় যা পরবর্তীতে ভাল করার অনুপ্রেরনা যোগায়। আমার মত প্রতিটি পদক্ষেপে বারবার ব্যারথ হওয়া মানুষ খুব একটা দেখিনি। তারপরও
সৃষ্টিকর্তার অপার মেহেরবানীতে কখনও ভেঙ্গে না পড়ে শুধু চেস্টা করে গেছি ব্যারথতা থেকে বেরিয়ে আসার। শুধু নিজেকে বারবার বলেছি, সৃষ্টিকর্তা চাননা আমি ব্যারথ হই। আমি জয়ী হতেই জন্মেছি।
তরুণরা তরুণ বয়সে কি কি কাজে অংশগ্রহন করতে পারে?
শিবলী এইচ আহমেদ : সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্নকাজে অংশ নেওয়া, বিভিন্ন স্কিল ডেভেলমেন্ট ট্রেনিং ও কর্মশালায় অংশ নেওয়া, নেয়া।যে প্রফেশনে ক্যারিয়ার গড়তে চান সেই প্রফেশনালদের সাথে নেটওয়ার্কিং তৈরি করা, বিভিন্ন ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার ও ট্রেনিং প্রোগ্রামে নিয়মিত অংশ নেয়া, মার্কেটে যারা চাকুরীদাতা তাদেরকে খুজে বের করে তাদের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা, সোসাল মিডিয়াতে নিজের পরিচ্ছন্ন ও প্রোএক্টিভ ভাবমূতি তুলে ধরা, বিভিন্ন কোম্পানিতে পার্টটাইম জবের চেস্টা করা, অবসর সময়গুলোতে ছোটখাট কাজ করে উপার্জনের পথ তৈরি করা। এসইও, গ্রাফিক ডিজাইন, আপ ওয়ার্কের কাজ শেখা, ইভেন্ট অরগানাইগিং এর কাজে অংশ নেওয়া, নিজের ইউ টিউব চ্যানেল তৈরি করা, ফেসবুকে পজিটিভ গ্রুপ তৈরি করা, বিভিন্ন ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে প্রোজেক্টবেস কাজে অংশ নেওয়া ইত্যাদি।
আপনার ইচ্ছা কি?
শিবলী এইচ আহমেদ : মানুষের সরল হাসি দেখতে খুব ভাল লাগে। তাই চাই আমার কাজে মানুষ যেন একটু হাসার উপলক্ষ্য খুজে পাই। ভাল মানুষহওয়া, নিজে স্বপ্ন দেখা এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখানো, সারা পৃথিবী ঘুরে দেখা, নানা সংস্কৃতির মানুষের সাথে মেশা। স্বপ্ন দেখি একদিন বড় কোম্পানীর সিইও হবার। “মানুষ তুমি মানুষ হও” এবং হাসতে শেখো, হাসাতে শোখো- এই স্লোগানটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
এখন কি নিয়ে কাজ করছেন?
শিবলী এইচ আহমেদ :তরুণদের সাথে বিগত কয়েক বছর যাবত খুবই ওতঃপ্রতভাবে কাজ করছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, পারসনাল ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, গ্রুপ কাউন্সেলিং, কোচিং, ট্রেনিং, সোসাল মিডিয়াতে নলেজ শেয়ারিং ছাড়াও বিভিন্ন
কোম্পানীগুলোতে ইন্টারভিউ ফেস করার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। তরুণদেরকে বিভিন্ন প্রফেশনাল নেটওয়ার্কের আয়তায় এনে তাদেরকে চাকুরিপ্রাপ্তি ও ক্যারিয়ারে উন্নতি করার জন্য কখনও সরাসরি সহায়ক, কখনও পরামর্শকের ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছি অবিরত। যেহেতু বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম) এর নির্বাচিত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর দায়িত্বে আছি, সেই প্রেক্ষাপট থেকেও আমাকে সবসময়ই তরুণদের ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয়। এছাড়াও সেলস এম্বাসেডর বাংলাদেশ, সেলস লিডারস বাংলাদেশ, বিল্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অরগানাইজেশন ফর লারনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বোল্ড), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর এপারেল এইচআর প্রফেশনাল (বিশার্প), ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইন্সটিটিউট সহ বেশ কয়েকটি
পিপলস ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের সাথে ওতপ্রোতভাবে অনেকদিন থেকেই কাজ করছি তরুনদের দক্ষতা উন্নয়নে। গ্লোবাল গুডউইল এম্বাসিডর (ইউএসএ) হিসাবেও আমার একটা নৈতিক দায়িত্ব আছে তরুন সমাজের প্রতি। ২০২০ সালে ন্যাশনাল লেভেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করার প্লান আছে। ক্যারিয়ার থেকে লব্ধ আমার কোন পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা যদি কোন মানুষের ক্যারিয়ার উন্নতির কাজে আসে বা জীবন চলার পথ সহজ করে তাহলে সেটাই আমার প্রাপ্তি। প্রতিটি তরুনের ভিতরেই অপরিসীম সম্ভাবনা আছে ভাল কিছু করে দেখানোর। শুধু দরকার একটু সঠিক দিক নির্দেশনা। যেটা আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে পাইনি ফলে অনেক কস্ট হয়েছে ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে। তাই আমি চাই আমার পরিচিত কোন তরুণ-
তরুণী যেন সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই ভুল পথে না চলে যায় বা সিধান্থীন্তায় না ভোগে।
আপনার ভাল লাগার দুইটা লাইন?
শিবলী এইচ আহমেদ : ১। নিজের সেরা ভার্শন হন।
২। সমস্যা সৃষ্টিকারী না, সমাধানকারী হন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভাবতেছি জবটা চেঞ্জ করব। কিন্তু ভয় পাচ্ছি!

ভাবতেছি জবটা চেঞ্জ করব। কিন্তু ভয় পাচ্ছি! যারা এমন চিন্তায় আছেন তারা ঠিক লাইনেই আছেন। কারন আপনি কেন জব চেঞ্জ করতে চান তা আপনার থেকে ভাল কে...